থাইল্যান্ডের একটি গুহার ভেতরে ১৮ দিন ধরে আটকা থাকার পর ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডুবুরিরা। গত ২৩ জুন নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর তাদের সম্পর্কে প্রথম জানা যায়। এতদিন তারা কীভাবে সেখানে বেঁচে ছিল তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।
বিবিসি বলছে, গত ২৩ জুন তাদের শিডিউল ম্যাচ ছিল। কিন্তু প্রধান কোচ সেটা বাতিল করে অনুশীলনের কথা বলেন। তারা পিতামাতা ও কোচের সঙ্গে পরামর্শ করে সাইকেল চালিয়ে মাঠে যায়। তবে গুহার ভেতরে ঢুকার ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি।
দিনটি ছিল দলের সদস্য পীরাপাত সম্পিয়াংজাইয়ে ১৬তম জন্মদিন। আর সেটা উদযাপন করার জন্য স্থানীয় বাজার থেকে ৭০০ বাথেরও (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮০০ টাকা) বেশি টাকা দিয়ে খাবার কেনে। এরপর তারা সহকারী কোচ একাপল চানতাওংকে অনুরোধ করে।
বিবিসি বলছে, খেলোয়াড়রা ছিল খুবই উৎসাহী। শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং নিজেদের মধ্যে ছিল খুবই ভালো সম্পর্ক। প্রবল বৃষ্টির কারণে গুহার ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করলে তারা পালাতে পালাতে গুহার গভীরে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গুহার ভেতরে আটকা পড়ার পর তাদের সাথে আনা খাবার খেয়েই কিশোররা বেঁচে ছিল। শোনা যাচ্ছে, গুহার ভেতর যখন খাবার কমার শঙ্কা খুব কম খাবারই খেয়েছেন কোচ। ফলে ২ জুলাই ডুবুরিরা যখন ফুটবল দলটিকে গুহার ভেতরে খুঁজে পান, তখন শারীরিকভাবে সবচেয়ে দুর্বল ছিলেন কোচ একাপল। এরপর তো তাদের বাইরে থেকে খাবার পাঠানো শুরু হয়।
কিন্তু পানি। উদ্ধারকারীরা বলছে, গুহার পানি ছিল নোংরা ও ঘোলা। এজন্য ফুটবলাররা গুহার দেয়াল থেকে যেসব পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়েছে সেসব পানি পান করতো। আর নিজেদের উষ্ণ রাখার জন্যে গুহার ভেতরে পাথর দিয়ে পাঁচ মিটার গভীর গর্ত খুঁড়েছিল। নিজেদের উষ্ণ রাখতে তারা সেই সুড়ঙ্গের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিল।