বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি 30, 2025

কমলনগরে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

news-pic-14-11-2016

পল্লী নিউজ ডেক্স:
লক্ষ্মীপুর কমলনগরে আওয়ামীলীগ নেতা রফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসহায় প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। আত্মসাতের টাকা ফেরত ও প্রতিবাদ করায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হারুনের মাকে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী হারুনের মা মনোয়ারা বেগম লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং সিআর ৩৭৬/২০১৬)।

অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা রফিক চৌধুরী কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চর কালকিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আবু তাহেরের ছেলে সবুজ ও আবদুল মন্নানের ছেলে আবদুল জলিলের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নেতা রফিক চৌধুরী কৃষি ব্যাংক কাদির পন্ডিতের হাট শাখা থেকে ওই প্রতিবন্ধীর টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে।

ভোক্তভোগী প্রতিবন্ধী হারুনের মা মনোয়ারা বেগম জানান আমার ৪ ছেলে-মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে হারুনের নাম প্রতিবন্ধী তালিকা উঠে (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার বই নং ক ৯ -৫৩৮) তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করতে আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ভাতার টাকা এলেও আমরা কোন খবর পাই নি। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি গত বছরের ১ জুলাই, চলতি বছরের ৩ জুন ও ০৭ সেপ্টেম্বর তারিখে ৩ কিস্তির মোট ৬ হাজার টাকা আওয়ামীলীগ নেতা রফিক চৌধুরীর নির্দেশে স্থানীয় সবুজ ও জলিল ব্যাংক থেকে ভুয়া টিপসই দিয়ে টাকা আতœসাৎ করে নিয়ে যায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর টাকার জন্য রফিক চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি টাকা ফেরত না দিয়ে প্রকাশ্যে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আমি রফিক চৌধুরী, সবুজ ও জলিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর থেকে তিনি লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন। মামলা করার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও আমি সুবিচার পাইনি।

কৃষি ব্যাংক কাদির পন্ডিতের হাট শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সবুজ ও জলিল প্রতিবন্ধিদেরকে ব্যাংকের নিচে দাঁড় করিয়ে বই ও ব্যাংকের ভাউচারে টিপ সই নিয়ে নিজেরাই ক্যাশ থেকে টাকা উত্তোলন করেন। উত্তোলনের সময় তারা জানান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তাদেরকে ব্যাংকে পাঠায়।

অভিযুক্ত জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি পরে দেখা করবো। অপর অভিযুক্ত সবুজ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন প্রতিবন্ধীদের কোন টাকা আমি উত্তোলন করিনি।

রফিকুল চৌধুরী বলেন টাকা আত্মসাত ও মারধরের বিষয়টি মিথ্যা আমি এ সব ঘটনার সাথে জড়িত নই।

চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার ছাইফ উল্লাহ জানান রাজনৈতিক কোটা থেকে ৮টি নামের বই আমার কাছ থেকে রফিক চৌধুরী বুঝে নেন এবং টাকা আত্মসাতের বিষয় আমি কিছু জানিনা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

১৪ নভেম্বর ২০১৬

সর্বশেষ খবর

BN