Monday, February 3, 2025

Private sector employees will also receive pension

সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় সরকারি পরিচালিত স্কিমে নিবন্ধন করে একজন কর্মজীবী মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা জমা করবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীর পেনশন হিসাবে জমা করবে।

প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, হতদরিদ্র শ্রমজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের অংশের অতিরিক্ত হিসেবে সরকার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ওই হিসাবে জমা করবে। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গঠিত তহবিল বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত আয় সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হতে থাকবে। এছাড়া ক্রমপুঞ্জিভূত‚ চাঁদা ও আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবসরকালে মাসিক পেনশনপ্রাপ্ত হবেন। তবে, সর্বজনীন পেনশন প্রবর্তনের জন্য মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন হবে, যা সময় ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী জনগণের মধ্যে সুযোগ ন্যায্যতা ও সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা, ধারাবাহিক কৌশলগত পরিবর্তন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সৃজন, কারিগরি সক্ষমতা ও যথাযথ নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সার্বিক বিষয়ক বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত সব কর্মজীবী মানুষের জন্য একটি টেকসহ সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের কাজ এ অর্থবছরেই শুরু করার আশা রাখি। অন্ততপক্ষে কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় পরীক্ষামূলক উদ্যোগ হিসেবে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা চালু করার ইচ্ছা আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোট বয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে পেনশনভোগীর সংখ্যা অতিসামান্য। শুধু সরকারি কর্মচারী এবং কতিপয় বেসরকারি সংস্কার কর্মচারীর সর্বমোট প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ পরিবার বর্তমানে নিয়মিত পেনশন পেয়ে থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের বাইরে হতদরিদ্র ৩৫ লাখ লোক মাসিক ৪০০ টাকা হারে বয়স্কভাতা পাচ্ছেন, যা মোট বয়স্ক জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ মাত্র। এছাড়া তাদের ভাতার পরিমাণও মানসম্মত জীবনধারনের পক্ষে যথেষ্ট নয়।

latest news

EN