রাজধানীসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান চলাকালে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এক হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যদিও পুলিশ বলছে, মহান বিজয় দিবস, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গত ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এদিকে, প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও মেসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিষয়েও নজরদারি রাখছে জেলা পুলিশ।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসার সামনের সড়কে পুলিশ অবস্থান নেয়। এতে বাসায় অনিরাপদ বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। তবে পুলিশের দাবি, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেখানে অবস্থান নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সোমবারসহ ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২২৬টি বিশেষ অভিযানে সারাদেশে এক হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রাজধানীতে গ্রেপ্তার হয়েছে ২৫৫ জন। অভিযান চলাকালে মামলার করা হয় ৪০৪টি।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলার আসামি। চলমান বিশেষ অভিযান পুলিশের নিয়মিত কাজ।
প্রস্তুত র্যাব: র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের প্রতিটি ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখতে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে র্যাব।
তিনি আরও জানান, সমাবেশকে ঘিরে র্যাবের পক্ষ থেকে টহল-তল্লাশি চৌকি থাকবে। সাদা পোশাকে রয়েছে মাঠে গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে গোয়েন্দারা সাইবার দুনিয়া নজরদারি করছে।
সোমবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে র্যাব মুখপাত্র বলেন, সরকারি ও বিরোধী দল বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। র্যাব সবসময়ই জননিরাপত্তা, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়ার্ড, হেলিকাপ্টার ইউনিট প্রস্তত রয়েছে।