শুক্রবার, জানুয়ারি 24, 2025

১২টি গ্রন্থের প্রণেতা এম.জায়েদ হোছাইন ফারুকী কমলনগরের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত

jayed-hosain-al-faruki-photo

পল্লী নিউজঃ
১২টি গ্রন্থের প্রণেতা এম.জায়েদ হোছাইন ফারুকী কমলনগরের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত
অধ্যক্ষ এম. জায়েদ হোছাইন ফারুকী ২০১৬ সালের জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ কমলনগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষাজীবনে তিনি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সকল কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন এবং বৃত্তিসহ মেধাতালিকা কৃতিত্বে স্বাক্ষর রাখেন। হাজিরহাট হামেদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা থেকে ১৯৭৪ইং সনে ফাযিল পরীক্ষায় মাদরাসা বোর্ডে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জনে মাদরাসার ৭৩ বছরের কৃতিত্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ১৯৭৬ইং সনে হাজিরহাট মাদরাসার তাঁর উস্তাদ প্রথিতযশা জ্ঞান তাপস, আল্লামা ছাইয়েদ আহমদ (রাঃ) তাঁকে হাজিরহাট মাদরাসার লেকচার আরবী হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৯০ইং সনে তিনি অত্র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হন। ছাত্রাবস্থায় তিনি যেমনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাদীপ্ত মেধাবী। শিক্ষকতা জীবনে তাঁর সম্মোহনী বক্তব্য, লেখনী ও আকর্ষনীয় শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্র মাদরাসার শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেতে লাগলো উত্তোরত্তর। ১৯৯৫ইং তাঁর যোগ্যতা ও দক্ষতায় তিনি হাজিরহাট মাদরাসার অধ্যক্ষ পদ লাভ করেন।
কৃতিত্বঃ তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় অত্র মাদরাসাখানা ৪ বার লক্ষ্মীপুর জেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসা এবং তিনি জেলা পর্যায়ে ৩ বার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। তিনি মাদরাসায় অপূর্ব সংস্কার ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছেন। আধুনিক শিক্ষার মধ্যদিয়ে এ মাদরাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার। তিনিই প্রথম ছাত্রীদেরকে মসজিদে জামায়েতে পর্দাসহ নামাজ পড়ার আয়োজন করলেন। ছাত্র-ছাত্রী আলাদা ইসলামী ইউনিফর্ম নিয়মে চালু করেন। তিনি একাধারে একজন সুবক্তা, লেখক ও গবেষক।
গ্রন্থ: এ পর্যন্ত এম. জায়েদ হোছাইন ফারুকীর ১২ টি ইসলামী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে কুরআনের আলোকে মানবজীবন, কানন কুসুম, জীবন্ত কুরআন অন্যতম।
সংগঠন: তিনি অনেকগুলো ইসলামী জনকল্যাণমূলক সংস্থার প্রষ্ঠপোষকতা করছেন।
১. কমলনগর আল-ফারুক ফতুয়াবোর্ড
২. আলমাদানী ফাউন্ডেশন
৩. আল্লামা ছাইয়েদ আহমদ (রাঃ) ফাউন্ডেশন
এবং তিনি দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কমলনগর উপজেলা শাখার সভাপতি। এম.জায়েদ হোছাইন ফারুকী আন্তার্জাতিক তায়ে আলম ইসলামীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘‘জাতীয় তাফসীরুল কুরআন’’ প্রতিযোগিতায় (আরবী ভাষা) ৩য় স্থান অর্জন করেন। সারা বাংলার আনাচে কানাচে একজন ইসলামী বক্তা হিসেবে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
সফর: তিনি দুবাই, কাতার, বাহরাইন ও সৌদিআরব সফর করেছেন।
তিনি একজন ইসলামী চেতনার মানষ। লেখাপড়া তাঁর জীবনের তপস্যা। নায়েম, বিয়ামবোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারী শিক্ষা মূলক বহু প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নারী শিক্ষায় অবদানের স্বারক হিসেবে উপজেলায় সরকারী সম্মাননা এবং ঢাকাস্থ কমলনগর সমিতি কর্তৃক কমলনগরের শ্রেষ্ঠ ‘‘ শিক্ষাবিদ’’ হিসেবে এওয়ার্ড লাভ করেন। বিজ্ঞপ্তি:

সর্বশেষ খবর

BN