বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি 30, 2025

শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভ, বিদ্যালয় তালা কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

1111

পল্লী নিউজ ডেক্স:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর বসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রতিবাদে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের তালা লাগিয়ে দেয়।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও চর বসু বাজারে এ বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ শেষে উত্তেজিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীয়রা প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিককে বিদ্যালয় থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, নিষিদ্ধ গাইড বই (ফুলকঁড়ি) পড়াতে বাধ্য করা, কোচিং বানিজ্য, রেজিষ্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ, বেতন, অভ্যন্তরীন পরীক্ষা ফি অতিরিক্ত আদায় এবং উপবৃত্তি, স্কুলের অনুদান আতœসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে প্রধান শিক্ষক। যে কারণে আমরা বিক্ষোভ ও স্কুলে তালা দিতে বাধ্য হই।

শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাসে গাইড বই পায় সে মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের কাছে কারণ জানতে চায়। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান নিজেকে আড়াল করতে নিজের দায় ওই স্কুলের শিক্ষক মোবারকের ওপর চাপায় এবং তাকে শোকচ করে।

শিক্ষক মোবারক জানায় যে প্রধান শিক্ষক নিষিদ্ধ গাইড বই (ফুলকঁড়ি) প্রকাশনার সাথে ২৮ হাজার টাকা চুক্তিবদ্ধ হয়। এবং টাকা নিয়ে ওই নিষিদ্ধ বই শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করে। কিন্তু এখন আমার উপর দায় চাপাচ্ছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিক বিভিন্ন অনুদান, গাইড বই বানিজ্য, ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা  এবং বাল্যবিয়েতে সহযোগিতাসহ  ব্যাপক অনিয়মের কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এসময়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ৫বছরে তিনি বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের কোন হিসাব দেখাননি নিজের ইচ্ছামত বিল ভাউচার করে টাকা হাতিয়ে নেন।

ফুলকঁড়ি (গাইড বই) বিক্রয় প্রতিনিধি নিশ্চিত করে বলেন, চর বসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আমাদের চুক্তি হয়।

অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, চরের স্কুল বুঝেনতো। নিষিদ্ধ গাইডবই (ফুলকঁড়ি) প্রকাশনা থেকে ২৮ হাজার টাকায় চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রকাশনার টাকা ফেরত দিয়েছি। এসময় তিনি এ বিষয়ে না লিখতে অনুরোধ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, এ বিষয়টি কেহ এখনও জানায়নি।

২৬-১১-২০১৬ইং

সর্বশেষ খবর

BN