পল্লী নিউজ ডেক্সঃ
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের দায়ে মৎস্যজীবি সমিতির এক নেতাসহ দশ জেলের প্রত্যেককে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
(আজ) বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ দন্ড দেন।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্থানীয় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এসময় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২ কাটুন ইলিশ ও একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান জানান, সদর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জেলেকে আটক করে প্রত্যেককে ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় আটককৃত জাল গুলো মজু চৌধুরীর হাট এলাকায় পুড়িয়ে দেয়াসহ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহিব উল্লাহ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম প্রমূখ।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন(৩৮), চর সামছুদ্দিন গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আবু তাহের (৫৬), চর কালকিনি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মহি উদ্দিন (২৬), সদর উপজেলার মধ্য চর চরমনী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৮), নোয়াখালীর পূর্ব মাছ ছড়া গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে মো. মোস্তাফা(৫৮), সৈয়দ আহম্মদের ছেলে হোসেন আহম্মদ (৪৫), মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. সিরাজ (৫২), শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে মো. শাহাজাহান (৪৫), শাহজাহানের ছেলে মনির হোসেন(৩৬), ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. আলাউদ্দিন(২৮)।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান প্রজনন মৌসুমে নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময়ে মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রি নিষিদ্ধ।