পল্লী নিউজ ডেক্স:
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্রমেই দালালদের দৌড়াত্বে জিম্মি হয়ে পড়ছে। প্রভাবশালীদের চত্তছায়ায় এসমস্ত দালাল চক্র পুরো হাসাপাতালের আনাছে-কানাছে ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বাহিরে ও ভিতরের প্রতিটি কক্ষে ডুকে পড়েছে চক্রটি। অসহায় রুগিদের নানা ভাবে হয়রানি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, করছে ত্রাসের রাজত্ব।
কর্তৃপক্ষ আগামী এক মাস লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালকে দালাল মুক্ত ঘোষনা করার মাত্র ২ দিনের মাথায় স্থানীয় ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে ৩১ দালাল চক্রের নামের তালিকা ও স্থান প্রকাশ করেছে নিজের পরিচয় গোপন রাখা অন্য এক দালাল।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের দালাল চক্রের ওই তালিকায় রয়েছেন, হাসপাতালের ভিতর ১০৬ নং কক্ষে সহিদ, ১০৭ সেলিম, ১২৯ নুর হোসেন, ২১৩ রাসেল, ১১১ জুয়েল, আউট ঘর মুরাদ, ১০১ করে কাউন্টারে পারভেজ, এক্স-রে ঘরের পাশে রাকিব, ডাইরিয়া ওয়ার্ড ঘরের পাশে শামিম, মরমালী, আউট ঘর ইসমাঈল, ২১০ কক্ষে ইমন, সাদ্দাম, বিকরম, বাচ্চু বাবু, ৩য় তলায় শিশু ওয়ার্ড সুজন, ২১৫ কক্ষে মাঈন উদ্দিন, ৪র্থ তলায় রুবেল, আউট ঘরে কালু, ২য় তলার ২১২ নং কক্ষে শিপন, কমলনগরের ফাহাদ, আউট ঘরের দুলাল, ৩য় তলায় পেনছি, রুনা, নুরুন্নাহার, নাছিমা, শিপু, পেনছি, হাছিনা, আউট ঘরে নাজমা এবং বাবুর্চি খানায় শাহিনুর। তালিকাটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ আকারে দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, সদর হাসপাতালের কোন দালাল চক্রকে ছাড় দেওয়া হবেনা। দালালরা রোগীদের হয়রানি কিংবা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা চাইলে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যেন কোন দালাল আশ্রয় নিতে না পারে সেজন্য আরএমও এবং সির্ভিল সার্জন কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে কয়েকজন দালাল চক্রের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।










