গাজায় ইসরাইলি হামলার এক বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার। আর এই দিনে হামাসের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে সোমবার হামাসের একটি আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে হামাসের পক্ষে বহিঃবিশ্বে তহবিল সংগ্রহ করার অভিযোগ ছিল।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তিন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা একটি ‘ভুয়া চ্যারিটি’ চালায় যা হামাসের প্রধান আন্তর্জাতিক সমর্থকদের একটি। তারা গাজার আল ইনতাজ ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও হামাসের দীর্ঘদিনের সমর্থক তুরস্কে বসবাসরত এক ইয়েমেনি নাগরিক এবং তার নয়টি ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানায় ট্রেজারি বিভাগ।
ট্রেজারী সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, হামাসের সন্ত্রাসী হামলার এক বছর পূর্তিতে ট্রেজারি বিভাগ নিরলসভাবে হামাসের সক্ষমতা হ্রাস এবং ইরানের প্রক্সিদের সন্ত্রাসী হামলায় অর্থায়ন ঠেকাতে কাজ করে যাবে।
এর আগে, এক বছর আগে গাজা সীমান্তে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে ১২শ লোককে হত্যা ও ২৫০ জন নাগরিককে জিম্মি করে হামাস। যার জবাবে গত এক বছরে গাজায় সেনা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে, হামাস গাজার মানুষের দুর্ভোগকে ব্যবহার করে তাদের সাহায্য করার নামে ভুয়া সংগঠনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেছে, তারা প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ করে থাকতে পারে। হামাস ইউরোপকে তাদের তহবিল সংগ্রহের একটি প্রধান উৎস হিসেবে দেখে।
ট্রেজারি বলছে, ইতালি ভিত্তিক এক হামাস সদস্যকেও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য করা হয়েছে, সে ভুয়া চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ সলিডারিটি উইথ দ্য প্যালিস্টিনিয়ান পিপল গঠন করেছে এবং হামাসের সামরিক শাখাকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ রয়েছে। জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতেও হামাসের দুই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।