পল্লী নিউজ ডেক্স:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সরকারী জায়গা দখল ও বন বিভাগের গাছ কাটা এবং বিএসটিআই’র লগো ব্যবহার করে, নিন্মমানের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে বিস্কুটসহ বিভিন্ন নকল পন্য উৎপাদন করার অভিযোগ রয়েছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়ে বিএসটিআই এর সীল ব্যবহার, দেশের নামীদামী কোম্পানীর মোড়ক নকল করে স¤্রাট ফুড প্রোডাক্টস নামে নকল কারখানা গড়ে উঠেছে।
এ কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ্বিএসটিআই, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমোদন নেই তবুও এ কারখানায় উৎপাদিত পন্যতে বিএসটিআইর লগো লাগিয়ে বাজারজাত করছে। পন্যে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ, ব্যাচ নাম্বার কোন কিছুই নেই অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে এ কারখানা এবং দেদারচে বিক্রি ও বাজারজাত করছে।
স্থানীয়ারা ও ব্যবসায়ীরা জানান, স¤্রাট ফুড প্রোডাক্টসের নামে কারখানা দিয়ে নি¤œ মানের খাদ্য সামগ্রী তৈরী করে দেশের নামীদামী প্রতিষ্ঠানের নকল লগো ব্যবহার করে দেদারছে বিক্রি করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অত্যান্ত নোংরা পরিবেশে ও নি¤œ মানের কাচাঁমাল দিয়ে এসব পন্য তৈরী হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারী জায়গা দখল ও বন বিভাগের গাছ কেটে অনুমোদহীন স¤্রাট ফুড প্রোডাক্টস নামে বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরীর কারখানা স্থাপন করেছে। রামগতি-লক্ষ্মীপুর উপ মহা-সড়কের (তোয়াহা সড়ক) উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পাশে স্থাপিত কারখানাটির সামনে সড়ক ও জনপথের সীমানা পিলার ভেঙ্গে জায়গা দখল এবং কারখানার সামনে থেকে অনেকগুলো সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় স¤্রাট ফুড প্রোডাক্টসের মালিক গিয়াস আহমেদ স¤্রাটের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়ারা আরও জানান গিয়াস আহমেদ স¤্রাট বেশ কিছু আকাশ মনি ও রেইন-ট্রি গাছ কেটে ঐ কারখানার পোড়ানো হয়। কারখানার লাকড়ির যোগান দেওয়া হয় বন বিভাগের এ সমস্ত গাছ কেটে।
এ বিষয়ে সদস্য মোসলেহ উদ্দিন ও নুরুল আমিন জানান গাছ কাটার বিষয়টি বনবিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তাকে বার বার জানানোর পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
বনফুলের মোড়ক নকল করে কারখানা ও সরকারী বন বিভাগের গাছ কেটে শিরোনামে গত জুলাই মাসে জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয়, অনলাইন পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উপজেলা নিরাপদ পরিদর্শক (স্যানিটারী ইন্সপেক্টর) মিজানুর রহমান জানান, আমি নিষেধ করেছি বিএসটিআইর লগো ব্যবহার না করার জন্য তবুও তিনি রাতে এ লগো লাগিয়ে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমি শ্রীঘ্রই কারখানা গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা কৃষ্ণ কমল মজুমদার জানান, গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আমি ঘটনাস্থলে গাছ কাটার আলামত পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করি।
লক্ষ্মীপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আলী জানান, বিষয়টি আমি শ্রীঘ্রই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি এ সপ্তাহে আমি সরজমিনে লোক পাঠাবো।
এ ব্যাপারে স¤্রাট ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক গিয়াস আহমেদ স¤্রাট জানান, আমার অনুমোদন আছে কিন্তু প্রতিবেদকে তা দেখাতে পারেন নাই। তিনি গাছ কর্তনের বিষয়টি অস্বিকার করে জানান, আমি লেবার নই যে গাছ কাটব। আপনি বিএসটিআই সীল ব্যবহার করেছেন এবং বনফুলের লেভেল ও মোড়ক নকল করে বাজারজাত করছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান প্রতিবছর ঈদে কিছু সেমাই বিতরন করি এজন্য এ লেভেল লাগিয়েছি। তিনি আরও জানান যে, প্রশাসন ও সরকার দলীয় লোক আমার আছে কেহ কিছুই করতে পারবে না।